Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ধানুয়া কামালপুর
বিস্তারিত

 ৪ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে ১১ নং সেক্টরের গুরত্ব¡পূর্ণ  কামালপুর এলাকা মুক্ত হয়। সশস্্র পাক হানাদার বাহিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্তসর্মপণ করে।
জানা যায়,১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের ১১ নং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর রণাঙ্গন। ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ ছিলো ১১ নং সেক্টরের হেড কোয়ার্টার। এই সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্র বাহিনির প্রবেশ ছিলো কামালপুর। আর এ কারনে পাক হানাদার বাহিনি শক্তিশালী ঘাঁটি গড়ে তুলে ছিলো কামালপুরে। ১৯৭১ এর ১২ জুন থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পাক বাহিনির ক্যাম্পে মোট ৮ বার আক্রমন করে। সব চেয়ে বড় এবং রক্তাক্ত যুদ্ধ হয় ৩১ জুলাই রাতে। এই সেক্টরের সার্বিক নেতৃত্বে থাকে ভারতীয় ১০১ কমিউনিকেশন জোনের কমান্ডার মেজর জেনারেল গুরুবক্স সিং গিল। কামালপুর – জামালপুর এলাকা দখলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রিগেডিয়ার  এইচ এস ক্লের এর নেতৃত্বাধীন ৯৫ মাউন্টেন ব্রিগেডকে। এই ব্রিগেডের দুইটি ব্যাটেলিয়ানকে পাক হানাদার বাহিনির কামালপুর বিওপি আক্রমনের নির্দেশ দেন মেজর গিল। ৩ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনি হানাদার বাহিনির কামালপুর বিওপিতে আঘাত হানে । মাত্রাতিরিক্ত আর্টিলারি গোলা বর্ষণ করেও তেমন কোন ক্ষতি করা সম্ভব হয়নি। এর পর বিমান হামলার মাধ্যমে পাকিস্থান সেনা বাহিনির বিওপি ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত হয়। শুরু হয় বিমান আক্রমণ। প্রতিটি মিশনের পর মেজর জেনারেল গিল পাক বিওপি কমান্ডার ক্যাপ্টেন আহসান কে আত্বসর্মণ করার জন্য  একটি করে চিঠি পাঠান। মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও ৪ ডিসেম্বর শত্রু সেনা বিওপিতে প্রথম চিঠি নিয়ে যান  বীর মুক্তিযোদ্ধা বশীর আহমদ বীর প্রতীক। চিঠিতে লেখা ছিল তোমাদের চারদিকে যৌথবাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে। বাচঁতে চাইলে আত্মসর্মপণ কর, তা না হলে মৃত্যু অবধারিত। এই চিঠি পেয়ে অগ্নিমূর্তি ধারন করে পাকসেনা কমান্ডার আহসান মালিক। বশিরের ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় আরেকটি চিঠি দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সঞ্জুকে পাঠানো হয় পাকসেনা ক্যাম্পে। চিঠির জবাব না পাওয়ায় শুরু হয় চুড়ান্ত বিমান হামলা। অবস্থা বেগতিক দেখে অস্ত্রসহ  পাক বাহিনির ১৬২ জনের একটি দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্বসর্মণ করতে বাধ্য হয়। হানাদার মুক্ত হয় কামালপুর রণাঙ্গণ। মুক্তিযোদ্ধারা প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন কামালপুর মাঠে। কামালপুর মুক্ত দিবস উপক্ষ আজ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজ সেবক আলহাজ্ব মাহবুবুল হক বাবুল চিশতী। ধানুয়া কামালপুর ইউপি’র সফল চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের ব্যবস্থাপনায় আজ ধানুয়া কামালপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।