জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলা হতে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে ধানুয়াকামালপুর ইউনিয়নের পূর্বে অবস্থিত।
জায়গাটি জামালপুর জেলার অধীনে হলেও যাওয়ার সহজপথ হলো শেরপুর হয়ে। ঢাকা থেকে ১টি এসি বাস সরাসরি শেরপুর হয়ে বকশীগঞ্জ পর্যন্ত এসে থাকে। প্রতিদিন দুপুর ৩.৩০ ঘটিকায় ঢাকা মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে ছেড়ে আসে। পরিবহনের নাম তাহমিদ পরিবহন,মোবাইলঃ০১৭২১২৪২০১৫। এছাড়াও ঢাকা মহাখালী বাস টার্মিনাল হতে শেরপুর এসে সিএনজিতে বকশীগঞ্জ উপজেলায় আসার সুযোগ রয়েছে। বেশি রাত হলে উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় সীমিত পরিসরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে রাত্রিযাপনের সুযোগ রয়েছে।(কেয়ারটেকার-ঈসমাইল মোবাইলঃ ০১৭৩২২০৭৫৬৩) তবে বকশীগঞ্জ হতে লাউচাপড়া পিকনিক স্পট সংলগ্ন ব্যাক্তি মালিকানাধীন বনফুল রির্সোটে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত,গীজার ও আধুনিক সুবিধা সহ থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। (ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান, মোবাইলঃ০১৭১৪৩২৩৫৭৩)
শেরপুর হতে অসাধারণ সুন্দর আরও একটি পথ রয়েছে। শেরপুর হতে গজনী হয়ে পাহাড়ী পথে সীমান্ত ঘেঁসে লাউচাপড়া পিকনিক স্পট পর্যন্ত নতুন রাস্তা নির্মিত হয়েছে।
ইঞ্জিনিয়ার মনিরুজ্জামান, মোবাইলঃ০১৭১৪৩২৩৫৭৩।
বকশীগঞ্জ ছেড়ে যতোই সামনে এগুতে থাকবেন চারিদিকটা যেন ততোই সবুজ। কোথাও কোথাও চলতি পথে সবুজের খেলা দেখতে দেখতে এক সময়ে এসে পৌঁছবেন এক পাহাড়ের পাদদেশে। চারিদিকে গারো পাহাড়ের সবুজ বন। পাহাড়ের গা বেয়ে আঁকা বাঁকা একটি সিঁড়ি উঠে গেছে একেবারে চূড়ায়। সেখানে আবার রয়েছে মস্তবড় এক ওয়াচ টাওয়ার। প্রায় ২৫০টি সিঁড়ি ধাপ অতিক্রম করে উপরে উঠলে চারিদিকে সবুজ ছাড়া কিছুই আর চোখে পড়েনা। দূরে দেখা যায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যের আকাশ ছোঁয়া সব পাহাড়। চারিদিকটা কেমন যেন ছবির মতো মনে হয়। এই পাহাড়ি জঙ্গলে আছে নানা জাতের পশু পাখি। ধান পাকার মৌসুমে আবার মেঘালয় থেকে চলে আসে বুনো হাতির দল। কাঠ ঠোকরা, হলদে পাখি, কালিম পাখি আরো কত ধরণের পাখি চোখে পড়বে এখানে এলে। লাউচাপড়ার এ পাহাড় বেড়িয়ে ক্লান্ত হলে নিচে নেমে একটু বসতে পারেন লেকের ধারে। সবুজ ঘাসের মাঝে কৃত্রিম এ লেকটি বেশ সুন্দর। লেকের পাশে কোন গাছের ছায়ায় বসে কাটাতে পারেন কিছুটা সময়। এ সময়টাতে গেলে বেড়িয়ে আনন্দ পাবেন। কেননা পিকনিক মৌসুমে এখানে থাকে পিকনিক পার্টির ভীড়। পুরো জায়গাটি অবসর বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলেছে জামালপুর জেলা পরিষদ। এ অবসর কেন্দ্রে প্রবেশে কোন টাকা লাগে না। তবে কোন বাহন নিয়ে গেলে তার জন্য পার্কিং ফি দিতে হবে। পাহাড়তো দেখা হলো, এবার দেখে আসতে পারেন এখানকার উপজাতিদের ছোট্ট একটি গ্রাম। গারো উপজাতিদের এ গ্রামের নাম দিঘলাকোনা। এ গ্রামে বাইশ পরিবারে রয়েছে একশ জন গারো। তারা সবাই খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী। গ্রামে প্রবেশের আগে কথা বলতে পারেন এ গ্রামের মাতুব্বর ঋনিু মনির সাথে। ভীষণ সদালাপি এ লোকটির আতিথেয়তায় মুগ্ধ হবেন আপনি। প্রতিবছর বড়দিন, ইংরেজী নববর্ষ, ইস্টার সানডে উপলক্ষে এ গ্রামে হয় নানান উৎসব। দিঘলাকোনা গ্রামের শুরুতেই রয়েছে‘দিঘলাকোনা সালগিত্তাল হোস্টেল’। লাউচাপড়ায় রাত কাটানো হতে পারে আপনার জীবনের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস